ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

‘দেশে কাঁচা মরিচের দামে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে‍‍’

বিশেষ প্রতিবেদক

জুলাই ২৬, ২০২৩, ০১:০৩ পিএম

‘দেশে কাঁচা মরিচের দামে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে‍‍’

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

কাঁচামরিচের দামে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি মূল্য ১ হাজার টাকা হওয়ার নজির নেই।

এমন মন্তব্য করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশের বাজার ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুলাই) ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথভাবে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে আয়োজিত এক অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, কারওয়ান বাজারে যে পটল ৩২ টাকা দরে আড়ৎ কিনে নিচ্ছে সেই পটল খোলাবাজারে ভোক্তা কিনছে ৮০ টাকা বা আরও বেশি দরে।

ডিমের দাম, ব্রয়লার মুরগীর দাম, চিনি ও সয়াবিন তেলের দামে একই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এমন স্থানে পৌঁছে গেছে, যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছে সেই সেখানে সুযোগ নিচ্ছে। এখানে নীতি নৈতিকতা ও ভোক্তার অধিকার নিয়ে কেউ ভাবছে না, সফিকুজ্জামান যোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থায় অদৃশ্য হাত ও সুপার পাওয়ার রয়েছে। উৎপাদক ও ক্রেতা দু‍‍’পক্ষই ঠকছে। সুবিধা নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এটি এক ধরনের নেক্সাস। একটি এসএমএস দিয়ে পণ্যের দাম ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটি প্রতিরোধ করা দরকার। 

আট-দশটি বড় গ্রুপ দেশের ভোক্তা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এসব বড় গ্রুপ ভোগ্য পণ্যের ছোট উৎপাদক ও সরবরাহকারীকে খেয়ে ফেলছে। এটি অনেকটা বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলার মতো।

সফিকুজ্জামানের মতে, এই অবস্থা রোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে যেমন শক্তিশালী করতে হবে তেমনি সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। তাহলেই এই ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা নির্মূল করা যেতে পারে।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মহাপরিচালক আরও বলেন, সরকারী কর্মচারী হিসেবে আমাদের এ ব্যাপারে পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করার সুযোগ কম। আমি গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। গণমাধ্যম আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। অনেক অভিযান আমরা গণমাধ্যম দেখে করেছি। 

এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

Link copied!